আজ || বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম :
  নিঃশব্দ হাহাকার।। গাজী মোমিন উদ্দীন।।       তালায় বাল্যবিবাহ ও নারী-শিশু নির্যাতন বিষয়ক কর্মশালা       তালায় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য খেলাধুলা সামগ্রী ও ক্যালেন্ডার হস্তান্তর       তালায় বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত       পাটকেলঘাটা প্রেস ক্লাবের নব নির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভা       তালায় ৬ষ্ঠ উপজেলা কাব ক্যাম্পুরীর সমাপনী       তালায় একইদিনে ৪জনের বাল্যবিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ       তালায় আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় সভা       তালায় উন্নয়ন প্রচেষ্টা বাস্তবায়িত এসইপি প্রকল্পের আওতাধীন ডেইরী ফার্ম ও পটারী উপ-প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন       তালায় জাতির পিতার ১০৩তম জন্মবার্ষিকী পালন    
 


সাতক্ষীরায় পুলিশ কনস্টেবল কন্যা ও পুত্রের প্রভাব খাটিয়ে এতিম ভাইপোদের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা

দেবনগরে পুলিশ কনস্টেবল কন্যা ও পুত্রের প্রভাব খাটিয়ে এতিম ভাইপোদের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত এবং মিথ্যা হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, সদর উপজেলার দেবনগর গ্রামের হযরত বিল্লারের স্ত্রী রাজিয়া খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার শ্বশুর অশিক্ষিত থাকায় আমার চাচা শ্বশুর আব্দুর রব কোর্টের মুহুরী হওয়ার সুবাদে কৌশলে তার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে তাড়িয়ে দেন। আমার শ্বশুর ২০০৭ সালে মারা যাওয়ার পর আমার স্বামী-দেবররা পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সম্প্রতি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শালিশী বৈঠকে আমাদের ২ বিঘা ৫ কাঠা জমি দিতে রাজি হন। সে অনুযায়ী আমরা ওই ২ বিঘা ৫ কাঠা জমির মধ্যে ৫ কাঠা জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণও করি। কিন্তু আমার সুচতুর চাচা শ্বশুর আব্দুর রব এর কন্যা যশোর কতোয়ালি থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল সেলিনা খাতুন ও নড়াইলে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল আরাফাতের অবৈধ প্রভাব খাটানোর জন্য তাদের চাপপ্রয়োগ করে। এর প্রেক্ষিতে ওই দুই পুলিশ কনস্টেবল তাদের সংশ্লিষ্ট থানার ওসি সাহেবকে মিথ্যা অভিযোগ করে বলেন, “স্বামী এবং দেবর নাকি তার পিতার কাছে চাঁদা দাবি করেছে, চাঁদা না দেওয়ায় তাদের জমি দখল করেছি”। এ মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে কতোয়ালি থানার ওসি ও নড়াইল সদর থানার ওসি সাহেব অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সাতক্ষীরার পুলিশ দিয়ে আমার স্বামীকে মারপিট ও মিথ্যা হয়রানির চেষ্টা করে। যদিও সাতক্ষীরা পুলিশ তদন্তপূর্বক বিষয়টি অবগত হয়ে আমার স্বামীকে মুক্তি দেন।
আমার ওই চাচা শ্বশুর এতটাই সুচতুর যে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার জন্য একই এলাকার মৃত. বাবুর আলী সরদারের পুত্র হত্যা মামলায় যাবত জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামী নজরুল ইসলামের সহযোগিতায় এবং নিজের দুই পুলিশ কনস্টেবল সন্তান ও আর এক কন্যা রতœা খাতুন প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল অপারেটর পদে চাকুরি করে মর্মে প্রচার দেন। অথচ দুইজন পুলিশ কনস্টেবল হলেও রতœা খাতুন ভূয়া পরিচয়দানকারী। সে প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল অপারেটর চাকুরি না করে ভূয়া পরিচয় প্রদান করেন। তার কাছে কোন প্রমান নেই। যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। এছাড়া আমার চাচা শ্বশুর বর্তমানে ওই হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামীর দাপটে আমার স্বামী এবং দেবরকে খুন জখমসহ মৎস্যঘের দখলের হুমকিও প্রদর্শন করে যাচ্ছে। সন্তানদের এবং ওই হত্যা মামলার আসামীর প্রভাবে আমাদের নানাভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। তাদের কারণে আমাদের পরিবার চরম উদ্বিগ্নতার মধ্যে দিনাতিপাত করছে।
এব্যাপারে তিনি চাচা শ্বশুর এবং তার সহযোগীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


Top