আজ || শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম :
  আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার চারটি আসনে ৩৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল       সাতক্ষীরার -১ আসনে লড়বেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী       সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে মুস্তফা লুৎফুল্লাহ মনোনয়নপত্র জমা       তালায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নৌকা প্রতিকের পক্ষে মতবিনিময়ন সভা       জোটের সঙ্গেই নির্বাচন, মনোনয়ন সমন্বয় করা হবে: তথ্যমন্ত্রী       তালায় সরকারী অধিগ্রহণকৃত জায়গার বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা!       আওয়ামী লীগের যে ৭১ এমপি এবার মনোনয়ন পেলেন না       সাতক্ষীরার ৪টি আসনে তিনটিতেই নতুন মুখ       তালায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রশিক্ষণ       সাতক্ষীরা-১ তালা-কলারোয়া আসনে নৌকার মাঝি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন    
 

প্রসূতী মাকে ২১ ঘন্টা আটক


পাইকগাছায় শাপলা ক্লিনিকে গর্ভের প্রসূতী বাচ্চা হত্যার অভিযোগ


পাইকগাছায় শাপলা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে গর্ভের প্রসূতী বাচ্চা হত্যা করে মাকে ২১ ঘন্টা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ক্লিনিক থেকে প্রসূতী মাকে উদ্ধার করে পাইকগাছা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তার অবস্থা আশংখা জনক। শাপলা ক্লিনিক ইতোপূর্বে ২৫/৩০ জনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ক্লিনিকটি বার বার বন্ধ হলেও অদৃশ্য কারনে আবার চালু হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

অভিযোগে জানাযায়, কয়রা উপজেলার বাগালী গ্রামের জনৈক খায়রুল সানার গর্ভবতী স্ত্রী অন্তসত্ত্বা হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিলে সোমবার পাইকগাছা হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করলে দালালরা শাপলা ক্লিনিকে বেলা ১২ টায় নিয়ে যায়। প্রসূতী মা কাতরাতে থাকলে সাড়ে ১২ টার দিকে আলট্রাসনোগ্রাফি করলে গর্ভের সন্তান সুস্থ্য আছে বলে জানায়। আপনারা দ্রুত রক্তের ব্যবস্থা করুন। বেলা ১ টার পর ক্লিনিকের মালিক কথিত ডাক্তার তাপস মিস্ত্রী বলেন, রোগীর গর্ভের সন্তান মারা গেছে। এখন অপারেশন করতে হবে। রোগীর স্বজনরা অপারেশন করতে না চাইলে তাপস ছলচাতুরীভাবে রোগীকে ক্লিনিকে আটকে রাখে। পরদিন মঙ্গলবার সকালে থানা পুলিশ সংবাদ পেলে রোগীকে ক্লিনিক থেকে উদ্ধার করে পাইকগাছা হাসপাতালে ভর্তি করে। উল্লেখিত বর্ননা দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে খায়রুল সানা বলেন, ক্লিনিকের মালিক কথিত ডাক্তার তাপস মিস্ত্রী আমার নিকট ১৮ হাজার টাকা চুক্তিতে প্রথম পর্যায়ে ৬ হাজার ৮ শ টাকা নিয়ে আমার স্ত্রী গর্ভের সন্তান হত্যা করে ক্ষ্যান্ত হয়নি। তিনি আমার স্ত্রীকেও হত্যা করবে বিধায় আটকে রাখে।তাপস বিষয়টি অস্বীকার করে রোগীকে বাচানোর আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম বলে জানায়। বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ক্লিনিক থেকে আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডাক্তার নীতিশ চন্দ্র গোলদার জানান, পাইকগাছা থানার থেকে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে। রোগীর ঔষধ দিয়ে নরমলে ডেলিভারী করার চেষ্টা চলছে। তবে রোগীর অবস্থা আগের থেকে এখন একটু উন্নতি হয়েছে। এ বিষয় আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।


Top