আজ || শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম :
 


ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় পেল টাইগাররা

৩২১ রান করার পরই জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা।  জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ। বোলিংও ছিল দুর্দান্ত। স্বাগতিকদের সামনে দাঁড়াতেই পারল না জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ পেল ১৬৯ রানের জয়। যা কিনা ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ১৬৩ রানের। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই জয় পেয়েছিল টাইগাররা।  বোলারদের সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে সেই আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন হলো। ১৬৯ রানের বিশাল ব্যবধানে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

এদিন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে বাংলাদেশের দেয়া ৩২২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩৯.১ ওভারে ১৫২ রান করে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। সফরকারীদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন মাধিভিরে। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৩টি, মোস্তাফিজুর রহমান ১টি, মাশরাফি বিন মর্তুজা ২টি, মেহেদী হাসান মিরাজ ২টি ও তাইজুল ইসলাম ১টি করে উইকেট শিকার করেন। সাইফউদ্দিনের হাত ধরে শিকার শুরু করে বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে কামুনহুকামউইকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান এই টাইগার পেসার। ১০ বলে ১ রান করেন জিম্বাবুয়ের এই ওপেনার। অষ্টম ওভারে রেজিস চাকাভাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন সাইফউদ্দিন। ১৮ বলে তিনি করেন ১১ রান। দলীয় ২৩ রানে মাশরাফির বলে মিড-অনে রিয়াদের হাতে ক্যাচ হন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক চামু চিবাবা। ২২ বলে তিনি করেন ১০ রান। এরপর ২১ রানের জুটি গড়েন টেইলর ও মাধিভিরে। দলীয় ৪৪ রানে তাইজুলের ঘূর্ণিতে বোল্ড হন টেইলর। ১৫ বল খেলে তিনি করতে ৮ রান করতে সক্ষম হন তিনি। টেইলর ফিরে যাওয়ার পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন সিকান্দার ও মাধিভিরে। কিন্তু জুটি দীর্ঘায়িত হয়নি। ২৩তম ওভারে বোলিংয়ে এসে এই জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজ। ডিপ মিডউইকেটে রিয়াদের হাতে ধরা পড়েন সিকান্দার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা মাধিভিরেকেও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে দেননি মিরাজ। কাভারে টাইগার অধিনায়ক মাশরাফির হাতে ক্যাচ হন তিনি। পরে টেলএন্ডার বোলারদেরও দাঁড়াতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা।   এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩২১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি সর্বোচ্চ সংগ্রহ। টাইগার ওপেনার লিটন দাস সেঞ্চুরি করেন। ১০৫ বলে ১৩টি চার ও দুইটি ছক্কার সাহায্যে ১২৬ রান করেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লিটনের এটি ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। মোহাম্মদ মিথুন ৪১ বলে ৫০ রান করে আউট হন। ১৫ বলে তিনটি ছক্কার সাহায্যে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট শিকার করেন ক্রিস এমপোফু। একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ ৩ মার্চ (মঙ্গলবার)।

সংক্ষিপ্ত স্কোর বাংলাদেশ ইনিংস: ৩২১/৬ (৫০ ওভার) (লিটন ১২৬, তামিম ২৪, শান্ত ২৯, মুশফিক ১৯, মাহমুদউল্লাহ ৩২, মিথুন ৫০, সাইফউদ্দিন ২৮*, মিরাজ ৭, মাশরাফি ০*; এমপোফু ২/৬৮, মুম্বা ১/৪৫, মাধিভিরে ১/৪৮, তিরিপানো ১/৫৬, সিকান্দার ০/৫৬, মুতোমবোদজি ১/৪৭)।

জিম্বাবুয়ে ইনিংস: ১৫২ (৩৯.১ ওভার) (কামুনহুকামউই ১, চিবাবা ১০, চাকাভা ১১, ব্রেন্ডন টেইলর ৮, মাধিভেরে ৩৫, সিকান্দার ১৮, মুতুম্বামি ১৭, মুতোমবোদজি ২৪, তিরিপানো ২, মুম্বা ১৩, এমপোফু ৯*; মোস্তাফিজ ১/২২, সাইফউদ্দিন ৩/২২, মাশরাফি ২/৩৫, তাইজুল ১/২৭, মিরাজ ২/৩৩, মাহমুদউল্লাহ ০/১২)। ফল: ১৬৯ রানে জয়ী বাংলাদেশ। ম্যাচ সেরা: লিটন দাস (বাংলাদেশ)।


Top